চাপের মুখে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : টিআইবি 


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
চাপের মুখে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা : টিআইবি 
  • Font increase
  • Font Decrease

একচ্ছত্র রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্খা থেকেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অভ্যন্তরীন ও বহিরাগত চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চাপ মোকাবিলা করে সৎসাহস ও নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ নৈতিকতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে সাংবাদিকদের পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত ‘করোনাকালে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা এবং ‘কোভিড-১৯ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০’ ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন আলোচকরা।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। এসময় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন, বৈশাখী টেলিভিশনের প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট জুলফিকার আলি মাণিক, এমআরডিআই এর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সহায়তা ডেস্কের প্রধান বদরুদ্দোজা বাবু এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমআরডিআই এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, গাজী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, এশিয়ান টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মানস ঘোষ, একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের রোভিং এশিয়া এডিটর মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, যশোরের দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, সিলেটের দৈনিক জালালাবাদের সম্পাদক মুকতাবিস উন নুরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ।  

প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় ড. অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিকরা এখন আর নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন না। কোভিড বিষয়ে চুরি নিয়ে সব সাংবাদিকতা হচ্ছে, কিন্তু কোন কাঠামোগত বিশ্লেষণ খোঁজা হচ্ছে না। এসময়ে এসে নতুন পর্যায়ের সাংবাদিকতায় যেতে হবে। শুধু চুরি হওয়ার খবর নয়, কেন চুরি হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে সেটার কারণ খুঁজতে হবে।”

করোনা অতিমারী সাংবাদিকদের দায়িত্ব আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে মন্তব্য করে ড. গীতিআরা নাসরিন বলেন, “অসুস্থতা, মৃত্যু ও অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি এসময়ে সাংবাদিকদের ওপর চাপ প্রয়োগের ঘটনাও বেড়েছে। এখন সাংবাদিক এবং পাঠক-দর্শকরা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছেন। দর্শক-পাঠকরা প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রশ্ন করছেন। তাই পাঠক-দর্শকরা সাংবাদিকদের ওপর ভরসা না করে কেনো সামাজিক মাধ্যমে ভরসা রাখছেন তা ভাবা দরকার, সেটা নিয়ে আত্মজিজ্ঞাসা করা উচিত।”

নীতি-নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে জুলফিকার আলী মাণিক বলেন, “সাংবাদিকতায় বাইরের চাপ আমাদের নতজানু করে ফেললেও নীতি-নৈতিকতা অনুসরণ করেই সাংবাদিকদের তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে। তরুণ সাংবাদিকদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে। স্বাধীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার পার্থক্য বুঝেই সাংবাদিকতা করতে হবে।”

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন বলেন, “সাংবাদিকতায় সবসময়ই চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাংবাদিক সংগঠনগুলো সাংবাদিকের জন্য কি করছে? বিভিন্ন ব্যাপারে দোষারোপ করে সাংবাদিকতার সংকট দূর করা যাবে না। এই ব্যাপারে অ্যাকাডেমিক আলোচনা প্রয়োজন।” এমআইডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিবেদনে কাঠামোগত দুর্বলতা আছে, সেখানেই প্রশ্ন করা হয়। তাই অনুসন্ধান যদি কাঠামোগতভাবে সঠিক হয়, তাহলে সাংবাদিক ও সম্পাদকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।” একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ বলেন, “মানুষের গল্প তুলে আনতে পারলে সেটাই সংবাদমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে পারে। তবে সাংবাদিকের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সাংবাদিকের সুরক্ষা এবং সম্পাদকের এখতিয়ার আইন ও বিধি দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।” এশিয়ান টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মানস ঘোষ সাংবাদিকের সুরক্ষায় আইনি বিধানের গুরুত্বারোপ করে বলেন, “গণমাধ্যম কর্মী আইন মন্দের ভালো। তারপরও আরো অনেক কিছু দরকার আছে।” গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন বলেন, “আমরা যতই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা কিংবা ঐক্যের কথা বলি নানা প্রতিবন্ধকতা আমাদের আষ্টেপৃষ্টে আটকে রেখেছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে যারা কাজ করি তাদের সমস্যা আরও প্রকট।” সাংবাদিকতায় প্রশাসনের মধ্যম বা উচ্চ স্তরের কর্মকর্তাসহ নানা জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরণের চাপ তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, “ক্লাব বা ইউনিয়ন নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে আমাদের যেমন রাজপথে থাকা দরকার, তেমনি বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরেও থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বিভিন্ন চাপ মাথায় নিয়ে পাঠক-দর্শকের প্রত্যাশা পূরণে যা করা দরকার তার সবটা আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি।” জিআইজিএন এর বাংলা বিভাগের সম্পাদক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, “দুর্নীতির পরিধি যেমন বৈশ্বিক হয়েছে, সাংবাদিকতার পরিসরও তেমন বৃদ্ধি পাওয়া দরকার।”

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ফল ঘোষণা ও সমাপনী বক্তব্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত উভয় ধরণের চ্যালেঞ্জই বিদ্যমান। সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যমের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা সাংবাদিকতাকে আয়নার সামনে দাঁড় করানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়। আমাদের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে গণমাধ্যম কীভাবে শুদ্ধাচার বজায় রেখে কাজ করবে তার কিছু দিক নির্দেশনা আছে। যদিও সেটি পর্যাপ্ত নয়, তবুও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান একক ও সামষ্টিকভাবে নৈতিকতার চর্চা করলে অভ্যন্তরীন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আর বহিরাগত চাপের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পরিবেশ নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতের ওপর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও এটি সমানভাবে প্রযোজ্য। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির মূল বিষয় হলে ‘জিরো সাম গেম’ অর্থাৎ ‘জিততেই হবে বা ক্ষমতায় থাকতেই হবে’! এজন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হবে, তাঁকে ধরাশায়ী করতে হবে। আর এই কাজটা যখন সাফল্যের সাথে বা তুলনামূলক সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয় তখন বাকি থাকে নাগরিক সমাজের একাংশ এবং গণমাধ্যমÑ যারা কথা বলে, যারা লেখে, যারা সরকারের ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে সরকারের সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়। সহায়ক ভূমিকা পালনের এই প্রয়াসকে সরকারের একাংশ শত্রু হিসেবে দেখে।”

কোনো প্রকার সমালোচনা সইবার সৎসাহস বা দৃঢ়তার ঘাটতি থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় মন্তব্য করে ড. জামান আরো বলেন, “বাংলাদেশে ক্রমাগতভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সাংবিধানিক অধিকার ও দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। একদিক থেকে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয় যেখানে অনেক সাংবাদিক বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় যাওয়ার চিন্তা করেন বা চলে যান। দ্বিতীয়ত, এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয় যাতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিবর্গ সরকারের দোসর হয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেটির প্রভাব হয় নেতিবাচক। তৃতীয়ত, এই প্রতিকূলতার মধ্যেও এক শ্রেণীর সাংবাদিক থাকেন যারা সততার সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে টিকে থাকতে চেষ্টা করেন। আর সে কারণেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এখনও টিকে আছে। কিন্তু তাদেরকেও এক ধরনের সেলফ সেন্সরশিপের মধ্য দিয়েই টিকে থাকতে হয়। আমি মনে করি, সাংবাদিকতার আজকের পথচলার এটাই সার্বিক চিত্র; কোভিড প্রেক্ষাপটে যা আরও বেশি প্রকটতর হয়েছে।”

টিআইবির কোভিড-১৯ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২০ ঘোষণাকালে জানানো হয়Ñ এবছর নিয়মিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কারের বাইরে পৃথকভাবে কোভিড-১৯ বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত/প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য টেলিভিশন এবং জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট/অনলাইন মিডিয়া এই তিনটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনটি বিভাগে বিজয়ী সাংবাদিকদের প্রত্যেককে সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হবে।

প্রিন্ট মিডিয়া আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন চট্টগ্রামের দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার আবু রায়হান তানিন। ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকায় চট্টগ্রামে ‘করোনা রোগী আইসিইউ পায় না, ১২ হাসপাতালের গল্প পুরোটাই ফাঁকি!’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন। সাংবাদিক আবু রায়হান তানিন তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে দেখান যে, চট্টগ্রামের ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেড ব্যবহারের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ঘটা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও তার পুরোটাই ছিলো শুভঙ্করের ফাঁকি! তার এই প্রতিবেদনে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি সরেজমিন অনুসন্ধান করে তিনি দেখান যে, এই ১২টি হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা যেমন এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না, আবার তাদের অনেকে এমনকি জানতেনও না যে কি করতে হবে! ফলে করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হলেও অনেক রোগী এই ১২ হাসপাতালের কয়েকটি ঘুরেও আইসিউ সাপোর্ট না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

প্রিন্ট/অনলাইন মিডিয়া (জাতীয়) বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক সৈকত ভৌমিক। তিনি বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা সারাবাংলা ডট নেট এর সিনিয়র করেসপন্ডেট হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজস ও সহযোগিতায় জেকেজি হেলথকেয়ারের করোনার ভুয়া পরীক্ষা ও রিপোর্টের মাধ্যমে প্রতারণা ও অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংক্রান্ত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য তিনি প্রিন্ট মিডিয়া (জাতীয়) বিভাগে এই পুরস্কারটি অর্জন করেন। সৈকত ভৌমিকের পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন- ‘করোনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার জাল’, ‘অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ধমক দিয়ে কাজ করাতো জেকেজি হেলথ কেয়ার’, ‘সরকারি খরচে বেসরকারি প্রতারণা জেকেজি হেলথ কেয়ারের’, ‘চিকিৎসকরা পেত না পিপিই, জেকেজির জন্য আনলিমিটেড’, এবং ‘সরকারি চাকরি করেও ছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান’ শিরোনামে দৈনিক সারাবাংলা ডট নেট পত্রিকায় যথাক্রমে ১৬, ২৩, ২৪ ও ২৫ জুন ২০২০ তারিখে প্রকাশিত হয়।

ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক মুফতী পারভেজ নাদির রেজা। তিনি একাত্তর টেলিভিশনে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০২০ সালের ০৪ অক্টোবর ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজারে বিষাক্ত মিথানল’ শিরোনামে একাত্তর টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের জন্য তিনি ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে এই পুরস্কার লাভ করেন। করোনা থেকে সুরক্ষায় ব্যবহৃত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে অনুমোদিত মাত্রায় আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল ও ইথানল ব্যবহারের বদলে সুপরিচিত এসিআই কোম্পানীর প্রস্তুতকৃত স্যাভলন হ্যান্ড স্যনিটাইজারসহ বাজারে প্রাপ্ত আরো অনেকগুলো ব্র্যান্ড ও নন ব্র্যান্ড হ্যান্ড স্যনিটাইজারে অননুমোদিত বিষাক্ত মিথানল মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের বিষয়টি উঠে এসেছে পারভেজ নাদির রেজার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে। উল্লেখ্য, পারভেজ নাদির রেজা ২০১৭ সালে ‘অস্ত্রের হোম ডেলিভারি’ শিরোনামে প্রচারিত তার একটি প্রতিবেদনের জন্য টিআইবির নিয়মিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।